অল্প বিনিয়োগে আজকাল অনেকেই বেশি লাভজনক ব্যবসা করতে আগ্রহী। মাসে যদি লাখ লাখ টাকা রোজগার করতে চান তাহলে বাড়িতেই করতে পারেন এই ব্যবসা। ছোট্ট জায়গাতে খুব সহজেই আপনি মাছের বাচ্চা ফোটানোর ব্যবসা করতে পারেন। ভাবলেই অবাক লাগে তার জন্য শুধু দরকার ছোট্ট একটা টেবিলের মত জায়গা। মৎস্য বিজ্ঞানী ডক্টর বিজয় কালী মহাপাত্র এই লাভজনক ব্যবসার পথটি দেখাচ্ছেন। তিনি নিজের বাড়িতেই করেছেন এর প্রয়োগ। বাড়িতেই ৬ফিট বাই ২ ফিট জায়গাতে তৈরি করে ফেলেছেন মাছের ডিম ফোটানো এবং বাচ্চা তৈরি করার মতো কাজ। আবার মার্কেট তিনিই দেখিয়ে দেবেন।
আপনি যদি ডিম ফোটাতে চান তার জন্য সময় লাগবে ১৮ ঘণ্টা এবং বিক্রির মত মাছের বাচ্চা হতে সময় লাগছে সাতদিন। অনেকেরই হয়তো অজানা যে, মাছ দু থেকে আড়াই লক্ষ ডিম পাড়ে। যদি কেউ ৭ থেকে ১২ দিন বয়সের বাচ্চাগুলোকে বিক্রি করে তাহলে এক একটি বাচ্চা ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকায় বিক্রি করতে পারবে। আপনি চাইলেই বাড়ির মধ্যে অল্প জায়গায় প্রতিদিন তিন থেকে চারটি শিঙি,মাগুর মাছের ডিম ফোটাতে পারবেন।
অ্যাকোরিয়ামের মত কাচের একটা বাক্স তৈরি করে অন্যান্য মাছেরও ডিম ফোটানো যায় এবং অবশ্যই সেটাকে ঢেকে রাখতে হবে। একটি পাইপের দ্বারা জলের ধারা সিস্টেম করে ওই বাক্সের জলকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ফেলা হয়। এরপর ওই কাঁচের বাক্সের জলটাকে আবার ফেলতে হলে ছোট্ট একটি মোটর পাম্প দিয়ে ঘোরাতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে জলে অক্সিজেন যাতে ঠিক থাকে। আবার এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে, জলে যাতে অ্যামোনিয়ার পরিমাণ না বেড়ে যায়। সেই কারণে মাঝে মাঝেই জলের পরিবর্তন প্রয়োজন। আপনি যদি সত্যিই এই ব্যবসায় লাভ করতে চান তাহলে এই পদ্ধতিতে একদিনে ডিম ফুটিয়ে ,সেই ডিম সংগ্রহ করে পাশে আরেকটি ছোট্ট পাত্রে রেখে ৭ থেকে ১২দিন, সব থেকে বেশি ১৫ দিনের মধ্যে মাছের চারা একটু বড় করে বিক্রি করতে পারেন। এই পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত ভাবে শিখে নিতে হবে।
আদতে এই পদ্ধতি এমন কোনই কঠিন নয়। আপনি বাড়িতে স্বল্প জায়গায় সহজে মাছের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে তা বিক্রি করতে পারবেন। এই দেশে মাছের চাহিদা প্রচুর। তাই সঠিক পদ্ধতিতে যদি এই ব্যবসা করা যায় তাহলে মাসে আপনি সহজেই উপার্জন করতে পারবেন লক্ষ লক্ষ টাকা। মাসে একটা মোটা অংকের টাকা উপার্জন করা এমন কোন কঠিন ব্যাপার নয় এমনটাই বলছেন কেন্দ্রীয় মৎস বিজ্ঞানী বিজয় কালী মহাপাত্র।
Leave a Reply