দেশে অসংখ্য ছোট বড় সংস্থা রয়েছে, যেখানে অনেকেই ভবিষৎ সুনিশ্চিত করতে বিনিয়োগ করে থাকে। এমনই একটি ক্ষেত্র হলো মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Funds)। যেখানে আপনি সরাসরি বা তৃতীয় ব্যাক্তির সাহার্য নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে কিভাবে বিনিয়োগ করলে বেশি রিটার্ন পাওয়া যায় তা অনেকেই জানেন না। ডিরেক্ট নাকি রেগুলার কোন ফান্ডে বিনিয়োগ করলে পাওয়া যাবে বেশি রিটার্ন? জেনে নিন।
ডায়রেক্ট মিউচুয়াল ফান্ড (Direct Mutual Funds) হলো সেই মিউচুয়াল ফান্ড যেখানে বিনিয়োগকারী ব্যাক্তি সরাসরি মিউচুয়াল ফান্ডের বিভিন্ন স্কীমে বিনিয়োগ করতে পারে। এক্ষত্রে বিনিয়োগকারীকে কোনো তৃতীয় ব্যাক্তির সাহার্য নিতে হয়না। ঠিক যেমন ভাবে উৎপাদনকারী সংস্থা থেকে কোনো পণ্য সরাসরি কেনা হয়, এটাও তেমন। সরাসরি পণ্য কিনলে যেমন দামে কম হয়, তেমনই এক্ষেত্রে সরাসরি বিনিয়োগ করলে ব্যায় অনুপাত কম হয়। ফলে রিটার্নের পরিমানটাও বেশি পাওয়া যায়।
অন্যদিকে রেগুলার মিউচুয়াল ফান্ডে (Regular Mutual Funds) বিনিয়োগকারী সরাসরি বিনিয়োগ করতে পারে না। এক্ষেত্রে ব্যক্তিকে ব্রোকার বা ডিস্ট্রিনিউটরের সাহার্য নিতে হয়। ব্রোকাররা এখান থেকেই নিজেদের কমিশন বের করে নেয়। অর্থাৎ ব্যায় অনুপাত বেশি পরে। ফলে ডায়রেক্ট মিউচুয়াল ফান্ডের থেকে এই ফান্ডে রিটার্ন কম পাওয়া যায়। তবে হ্যাঁ, যারা এ পথে নতুন তাদের জন্য রেগুলার মিউচুয়াল ফান্ডই ভালো। কেননা মিউচুয়াল ফান্ড সম্পর্কে ভালো ভাবে না জেনে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
এবার প্রশ্ন হলো ডিরেক্ট ও রেগুলার মিউচুয়াল ফান্ডে রিটার্নে পার্থক্য কেমন? ধরেনিন, রমেশ নামক এক ব্যাক্তি ১০ বছরের জন্য ডিরেক্ট মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলেন। অন্যদিকে সুরেশ নামক এক ব্যাক্তি ওই একই বছরের জন্য রেগুলার মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলেন। উভয়কেই প্রতিমাসে ১৬,০০০ টাকা করে পলিসি জমা করতে হয়। এ ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে ডিরেক্ট মিউচুয়াল ফান্ডে ১২.৫% সুদ পাওয়া যাবে। অর্থাৎ মেয়াদ শেষে রমেশ নামক ব্যাক্তি পাবে ৩৫.৫ লাখ টাকা। অন্যদিকে একই পরিমান বিনিয়োগ করে সুরেশ পাবে ৩৪.৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ ডিরেক্ট মিউচুয়াল ফান্ডে ১ লাখ টাকা বেশি পাওয়া যাবে। তবে বিনিয়োগ করার আগে নথি অবশ্যই ভালো ভাবে পড়ে তবেই বিনিয়োগ করবেন।
Leave a Reply