অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায়, আধুনিক সভ্যতার শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার হল বাইসাইকেল। যেটা ছাড়া জীবন যেন অকেজো। দুই চাকা বিশিষ্ট পায়ে চালানোর এই বাহন কম-বেশি সকল মানুষের কাছেই বেশ কাজের। যে বাহনে লাগে না তেল। এমনকি ব্যাটারিও লাগানো থাকে না যে চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে। শুধু পায়ের জোড়েই হুহু করে ছোটে এই সাইকেল।
১৮১৭ সালে আবিষ্কার হয় এই সাইকেল বা বাইসাইকেল(Cycle)। জার্মানির কার্ল ডন ড্যারন জার্মানির ম্যানহেইম শহরে এই সাইকেল আবিষ্কার করেন। রোজকার জীবনে এই সাইকেলের গুরুত্ব বেশ রয়েছে। তবে বাংলা-ইংরেজি সবক্ষেত্রেই এই বাহনটিকে কম-বেশি সকলে সাইকেল বা বাইসাইকেল হিসেবেই জানে। তবে এই সাইকেলের আসল বাংলা অর্থ কি জানেন? বা কখনো কি জানার ইচ্ছা মনে জেগেছে? তাই চলুন আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নিন সাইকেলের আসল বাংলা অর্থ।
তবে ১৮১৭ সালে সাইকেল আবিষ্কার হলেও তা কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই চালানোর পর্যায়ে আসেনি। ১৮৮০ সালে সাইকেল চালানোর পর্যায়ে আনা হয়। তার জন্য সাইকেলে যুক্ত করা হয় টায়ার এবং চেন। গোটা বিশ্বজুড়ে এই দুই চাকা বিশিষ্ট সাইকেলের বেশ পরিচিতি যেমন রয়েছে তেমন চাহিদা রয়েছে।
দামের ক্ষেত্রে অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় এই দুই চাকা বিশিষ্ট সাইকেলের দাম অনেকটাই কম। এছাড়া এই দুই চাকা বিশিষ্ট সাইকেল তেলহীন এবং ব্যাটারিহীন ছাড়া চালানোর জন্য বেশ উপযুক্ত। ফলেই অনেকেই কম দামে এই সাইকেল কিনে কাছাকাছি কোথাও যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন।
জানলে অবাক হবেন বর্তমানে বাইক বা অন্যান্য যানবাহনে করে মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছে। তবে আগেকার সময়ে মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা সাইকেল চালিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেত। এছাড়া সেই সময় সাইকেলের কদরও মানুষের কাছে বেশ ছিল। তবে সাইকেল সম্পর্কে মানুষ জ্ঞাত হলেও সাইকেলের বাংলা অর্থ সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞাত। এমনকি গুগলেও সাইকেলের বাংলা অর্থ জিজ্ঞাসা করা হলে সাইকেল বা বাইসাইকেল বলে অভিহিত করা হয়। কিন্তু সাইকেলের আসল বাংলা অর্থ হল দ্বিচক্রযান। যা অনেকেই এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানতে পারলেন।
Leave a Reply