Halud Totka : হলুদের নানান গুণ। প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে গুরুত্ব রয়েছে এই মসলার। কেবলমাত্র রান্নার মসলা হিসেবে যে হলুদ ব্যবহার করা হয় এমনটা কিন্তু নয়। ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তুলতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এমনকি রোজ সকালে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেলেই মিটে যাবে নানান অসুখ। বাড়বে ইমিউনিটি। মুক্তি মিলবে গ্যাস অম্বলের হাত থেকে, ক্ষমতা বাড়বে মস্তিষ্কের। এমনকি বয়সজনিত নানান রোগের প্রকোপ কমিয়ে দেবে হলুদ। সবচেয়ে বড় কথা হলো বাস্তুশাস্ত্রে (Vastu Shastra) ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে হলুদের।

আসলে প্রতিটি ভগবানের পূজোতে উৎসর্গ করা হয় আলাদা আলাদা জিনিস। ঠিক তেমনই ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীকে খুশি করতে হলে উৎসর্গ করা যেতে পারে হলুদ। অন্তত এমনটাই বলা আছে বাস্তুশাস্ত্রে। লক্ষ্মী এবং বিষ্ণুর আশীর্বাদ পেতে প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার নিয়ম মেনে করতে হবে পুজো। এই দিনেই উৎসর্গ করতে হবে হলুদ। তাহলেই পাওয়া যাবে ভগবানের আশীর্বাদ।

1. আর্থিক সংকট দূর করতে বৃহস্পতিবার লাল কাপড়ে পাঁচটি হলুদ বেঁধে রেখে দিতে হবে। এতেই প্রসন্ন হবেন মা লক্ষ্মী। চিরতরে দূর হবে অর্থনৈতিক সংকট।
2. বহু চেষ্টা করেও যাদের ব্যবসায় আসছে না উন্নতি তারা হলুদ এবং জাফরনের একটি মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন। এবার সেটিকে ভল্টের ওপরে দিয়ে আঁকতে হবে একটি স্বস্তিক চিহ্ন। এতেই সমস্ত দুঃখ দুর্দশা দূর হয়ে ব্যবসায় আসবে উন্নতি।
3. কর্মজীবনে যদি কেবলমাত্র ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয় তাহলে বৃহস্পতিবার জলে সামান্য হলুদ মিশিয়ে স্নান করতে হবে। এতেই দূর হয়ে যাবে নানান বাধা বিপত্তি।
4. যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে যাওয়ার আগে ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে গণেশের পুজো করতে হবে। পুজোর সময় গণেশের কপালে লাগাতে হবে হলুদের টিকা। এরপর মূর্তির কপাল থেকেই সেই তিলক নিয়ে পড়ে নিতে হবে নিজের কপালে।
5. যদি কোন ব্যক্তির রাশিতে বৃহস্পতির অবস্থান ঠিকঠাক না থাকে তাহলে বৃহস্পতিবার মা লক্ষ্মীকে দান করতে হবে হলুদ। এতেই কেটে যাবে বিভিন্ন গ্রহের দোষ এবং মজবুত হবে বৃহস্পতির অবস্থান।